হাজীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে আকস্মিক এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে। এ ঘটনায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। রাত সাড়ে ১০টায় এ সংবাদ লিখার সময়ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযান চলছিলো সংঘর্ষকারীদের আটকের জন্যে। ঘটনাটি শুক্রবার রাত ৯টার পর শুরু হয়।
হাজীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলির পক্ষের কয়েকজন জানান, সন্ধ্যার দিকে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বী সমর্থিত কয়েকজন খোকন বলিকে মারধর করে এমন কথার সূত্র ধরে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধসহ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের ১ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। পরে চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্তকারীদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এবায়েদুর রহমান খোকন ও তার মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন জীবন কাজী জানান, খোকন বলির উপর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাবি্বর নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
অপরদিকে মেহেদী হাছান রাবি্ব মুঠোফোনে বলেন, বিনা কারণে খোকন বলির ছেলেরা আমার কয়েকজন সমর্থককে মারধর করেছে। এর পরেই তারা আমার ইন্টারনেটের অফিস-বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে।
পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত আর অভিযান চলছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।