স্টাফ রিপোর্টার
‘বিচারের আগে আমি মরতে চাই না। বিচারে যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই, আমার যদি ফাঁসি হয়, আমি মেনে নেবো। আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যুর কারণের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কিছুই জানি না।’ আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বললেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যক্ষ শাহিনা সুলাতানা ফেন্সিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তার স্বামী অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি কিছুটা অশ্রুসিক্ত ছিলেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার মোশারফ ইউসুফের আদালতে তাঁকে হাজির করা হলে আইনজীবীরা তাঁর জামিন চান। এ সময় উপস্থিত আইনজীবীদের সামনে তিনি আদালতের বিচারকের উদ্দেশ্য করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকেন, ‘বিচারক মহোদয় আমি আপনার কাছে আমার প্রাণ ভিক্ষা চাই। আমার স্ত্রীর হত্যার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি মরতে চাই না। আমাকে বিভিন্নভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা আমাকে বলতেছে ‘আপনি সারতে চাইলে আপনাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে হবে। অন্যথায় ক্রসফায়ার করা হবে’। আমি আপনার কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা ও প্রাণভিক্ষা চাই। আমাকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্যে চাপ প্রয়োগ করছে পুলিশ। পুলিশ আমার সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করছে। আমি চাই এ মামলার সঠিক বিচার হোক। আমি যদি অপরাধী হই তাহলে আমার সাজা হবে এতে দুঃখ নাই’। অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমও আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার এ মামলার জামিন ও রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়েছে। আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।