শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুরের কোস্টগার্ড থেকে বহিস্কৃত বধুমাঝি, আব্বাস মাঝি, (ওরফে সাদেক মাঝি), গাজী বেপারী, নজরুল মাঝি, কামরুলের বেপরোয়া চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের চাঁদাবাজিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাঁদপুর,নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সুতার জাল ও মাছের ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, বধু ও আব্বাস মাঝি হল চাঁদাবাজদের মূল হোতা। তারা কোষ্টগার্ডের সোর্স হিসাবে পরিচয় দিয়ে এই পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সুতার জাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কিবরিয়াও সহ-সভাপতি পঞ্চাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বিগত দুই বছর যাবত এদেরকে কোন চাঁদা না দিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারে না। বধু মাঝি ও আব্বাস মাঝি কারেন্ট জাল চোরাচালানের মূল হোতা। তারা অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি দশ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে গজারিয়া ও চাঁদপুর কোস্টগার্ডের এরিয়া পার করিয়ে দেয় গ্যারান্টি সহকারে। মৎস ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, আমরা বড় ইলিশ মাছ কিনে আনলেও তারা বিভিন্ন সময় পুলিশ ও কোস্টগার্ড দ্বারা বৈধ মাছকে অবৈধ বলে ধরিয়ে দেয়। আর টাকা দিলে মাছ ধরায় না, তারা ভোলা বিশ্বরোডের ফারুক বেপারী, আছলাম বেপারী, সেলিম বেপারী, সাহেবালী বেপারীর কাছ থেকেও কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছে বলে জাহাঙ্গির বেপারী জানান। বধু মাঝি ও আব্বাস মাঝি অনেক সময় নিজেদেরকে কোস্টগার্ডের সদস্য হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকে। তাদের কথায় চাঁদপুর কোস্টগার্ড নদীতে নামে এবং উঠে বলে তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জানায়। কোস্টগার্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
চাঁদপুর পুরানবাজারের সুতা ব্যাবসায়িরা জানায়, কোস্টগার্ডের সোর্স পরিচয় দিয়ে বধুমাঝি, আব্বাস মাঝি, (ওরফে সাদেক মাঝি) ও তাদের সহযোগি গাজী বেপারী, নজরুল মাঝি, জামতলার কামরুল মোবাইলে ফোন করে মাল লঞ্চ থেকে ধরিয়ে দেবার নামে ভয় দেখিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজীর করে। তারা লঞ্চের সুপারভাইজার,মাষ্টর ও সুকানির সাথে হাত করে এ হাত করে লঞ্চে থাকা কারেন্ট জাল ও মাছের মালিকদের নাম্বার সংগহ করে পুর্বে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। যারা টাকা দিতে অস্বিকার করে তাদের মালগুলো কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। তাদের এই চাঁদাবাজির কারনে কোষ্টগার্ডের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।