রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
অবশেষে ৬ দিন পর চাঁদপুর মডেল থানার সহযোগিতায় ও কামরাঙ্গা থানা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মায়ের কোলে ফিরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হলো শিশু মুন্নি চৌধুরী ইলমাকে । অজ্ঞান পার্টির কবলে পরে শিশুটি ঢাকা কামরাঙ্গা চর এলাকার নূর মসজীদ গলির এক ভাড়া বাসা থেকে ১ সপ্তাহ পুর্বে চাঁদপুরে চলে আসে। শিশুটিকে ফিরে পেয়ে তার মায়ের মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে। শিশুটির বাবা মনির চৌধুরী এবং মায়ের নাম মুক্তা বেগম।
জানাযায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধায় একজন অটো চালক শিশুটিকে শহরের চিত্রলেখা এলাকায় কুড়িয়ে পায়। পরে শিশুটিকে মডেল থানা পুলিশের দায়িত্বে রাখা হয়। গত ৬ দিন ধরে পুলিশ শিশুটি মডেল থানায় আদর যতেœ হেফাজতে রাখে। অবশেষে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও তদন্ত অফিসার মহিউদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার মনির আহমেদ ও পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় ঢাকা-নারায়নগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থান সহ চাঁদপুরের প্রত্যেক উপজেলায় শিশুটির অভিভাবকের সন্ধানে লোক নিয়োগ করে। হাস্যজ্জল মুন্নি জানায়, তার বড় মায়ের বাড়ি চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা হাওলাদার বাড়ি। অনেক দিন আগে সে মা বাবার সাথে সেখানে বেড়াতে এসেছিলো। পরিবারে সে ছাড়াও তার আরো দুই ভাই এবং দু’বোন রয়েছে। ভাই বোনের মধ্যে সে ২য়। ঢাকার আনন্দপুড়ি স্কুলের ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ৬ দিন পর অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা মুক্তা বেগম খবর পেয়ে কামরাঙ্গাচর পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদপুর মডেল থানায় আসে। এসময় চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও তদন্ত ওসি, সেকেন্ড অফিসার মনির আহমেদ, অন্যান্য উপ পরিদর্শক , সহকারি উপ পরিদর্শক, পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় শিশুটিকে তার মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানায়, পুলিশ জনগনের বন্ধু। একটি কোমলমতি শিশুকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে কিছুটা হলেও আনন্দ অনুভব করছি। তাছাড়া এ কাজটা করতে পারা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি। রাতে শিশুটিকে একজন নারী পুলিশ সদস্যদের পাহারায় ঘুমিয়ে রাখা হয়। বাচ্চা শিশু-তাই কখন আবার সবার চোখ ফাকি দিয়ে চলে যায় কে জানে। এদিকে শিশুটির সাথে কথা বলার সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে তার হাস্য-ঠাট্টা দেখে উপস্থিত লোকজন আনন্দিত হয়ে যান। এএসআই আনোয়ার ও পুলিশ সদস্য জামাল হোসেন জানায়, বাচ্চা মেয়ে তাই ওকে নজরে রাখাটা খুব কষ্টকর ছিলো।