আল-আমিন মজুমদার :
হাজীগঞ্জ বাজারে ২৮ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাতে বিদ্যুতের র্সটসাকিটে ৩০ দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। বাজারের পৌর হকার্স মার্কেটের মধ্য গলির দুই সারির প্রায় ১২টি দোকান ভয়াভহ আগ্নিকান্ডের কবলে পড়ে ভূমিস্ফুত হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন। এদিকে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা এবং উদ্ধার ৫০ লক্ষ টাকা বলে জানান। হাজীগঞ্জ বাজারের নাইটগার্ড জানান, রাত সোয়া দুইটায় আগুনের লেলিহান দেখতে পায়। তার চিৎকারের বাজারে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে। ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছালেও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না হওয়ায় প্রায় ২০ মিনিট আগুন জ্বলতে থাকে। মুর্হূতেই মার্কেটের প্রায় ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানের ব্যবসায়ীরা হলেন, ইকবাল, কবির, দুলাল, জীবন কৃষ্ণ,নুরুল ইসলাম, বিকাশ সাহা, তাজুল ইসলাম, দেলোয়ার, সালাউদ্দিন, ইমরান, গাজী নাছির উদ্দিন, বিল্লাল হোসেন, মিজান, সেলিম শেখ, শিমল, জীবন, ইকবাল,ফয়সাল, আনোয়ার হোসেন, চান মিয়া। ব্যবসায়ী ইকবাল জানান, পল্লী বিদ্যুৎতের অবহেলার কারণে এতো ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎতের কন্ট্রোল রুমে কয়েকবার ফোন করার পরও তারা ফোন রিসিভ করেনি। প্রায় ২৫ মিনিট পর কল ধরায় বিদুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়।
হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব অরুণ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পল্লী বিদুৎ অফিসে ফোনে না পাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হয় ফায়ার সাভির্সের দমকল বাহিনী।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শামছুল আলম জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না হওয়া এবং পানি ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে বিলম্ব হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় হর্কাস মার্কেট ব্যবসায়ীরা আধা ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানান। দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে দায়ী করে নির্বীহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সমবেদনা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দীন ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মদ খসরু ।