শাহরাস্তি প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের শাহ্রাস্তি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সিকদার মোঃ সাইফুল ইসলাম কর্তৃক ফল ব্যবসায়ী ও এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহ-সড়কে উপজেলার কালিয়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী, ক্ষতিগ্রস্থ ফল ব্যবসায়ী ও মুক্তিযুদ্ধা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুপুরে উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সাইফুল ইসলাম কালিয়াপাড়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী ইমাম হোসেনের দোকানের সামনে এসে দোকান মালিককে খোঁজ করেন। এ সময় ইমাম হোসেন দোকান মালিকের নাম বললে উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে ইমাম হোসেনকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে দোকান মালিক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম এগিয়ে এলে তাকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।
আবুল কাশেম জানান, সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একটি কল আসার পর তাকে ছেড়ে দেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা এর প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ দিকে সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগণ চাঁদপুর-কুমিল্লা মহা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনারস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুকবুল আহম্মেদ, মেহের উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মোস্তফা কামাল, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মফিজুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
বৈঠকে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি কিছুই শুনতে চাই না, জনগণের উপস্থিতি প্রমাণ করে কার দোষ হয়েছে। আমি বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মহোদয়কে আমি প্রতিবেদন লেখবো। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন- আপনারা দেশ স্বাধীন না করলে আমি আজ এ পদে থাকতে পারতাম না। এ জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে জড়িয়ে ধরেন। উপস্থিত জনতা এস.আই সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবী জানালে তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।