মো. শিমুল হাছান
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় ভুয়া নিকাহ রেজিষ্টার এমরান হোসেন এক দশকের বেশী সময় ধরে বিবাহ নিবন্ধন দিয়ে চলছেন। আরিফুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়কে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ্য যে, ফরিদগঞ্জ পৌরসভাটি বিগত ২০১৬ইং সালে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ায় ১জন নিক্হা রেজিষ্টার ৩টি ওয়ার্ডে নিয়োগ পাওয়ার কথা। অথচ এমরান হোসেন আইন মন্ত্রনালয়ের সচিবের স্বাক্ষর জ¦াল করে ৯টি ওয়ার্ডের বিবাহ নিবন্ধনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
অফিস সূত্রে জানা যায়, এমরান হোসেন বৈধতা পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে ৭৫০০/২০০৭নং ও ১১৪২১/২০১৫ নং মামলা দায়ের করে। আদালত রেকর্ডপত্র যাচাই করে সচিবের সাক্ষর জাল করার প্রমাণ পেয়ে গত ১৫/১২/২০১৫ইং ও ০৪/০১/২০১৮ইং তারিখে মামলা দু’টি খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে ১৭১৫৬/২০১৭ নং মামলা দায়ের করলে, ০৩/১২/২০১৭ইং তারিখে হাইকোর্ট ৩মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে।
ইতিপূর্বে ০৭/১২/২০০৬ইং সালে জেলা রেজিষ্টারকে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দিতে আইন মন্ত্রনালয় একটি পত্র প্রেরণ করে, যাহার স্বারক নং ০৭/২এন-২০৩/৭৬(অংশ)/৮৯১।
সেই প্রেক্ষিতে জেলা রেজিষ্টার তদন্ত করে লিখিতভাবে জানান, এমরান হোসেনের নামে ইস্যুকৃত লাইসেন্স ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়। তাছাড়া সকল কাগজপত্র ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। অপরদিকে ২১/১২/২০০৬ইং সালে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি নথিভূক্ত করা হয়েছিল।
ভুয়া কাজী এমরান হোসেন জানান, আমি কাগজপত্র ছাড়া কোন বক্তব্য দিতে পারবো না। কারন আমার কাগজপত্র সবই হাইকোর্টের একটি চলমান মামলায় জমা দেয়া আছে। কাগজপত্র আনার পর বাস্তবতা তুলে ধরে সঠিক বক্তব্য দেব।
জেলা রেজিষ্ট্রার সৈয়দা রওশন আরা বলেন, ফরিদগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রারকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন জেলা কার্যালয়ে প্রেরনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাবার পর, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।