মিজান লিটনঃ-
রাত পোহালেই বিবাহবার্ষিকী। তাও আবার বিবাহের পর এই প্রথম পালন করবে নব দম্পতি। স্ত্রীর স্বপ্ন ছিলো পরিবারের সকলকে নিয়ে তার বিবাহ বার্ষিকী পালন করবে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হলেন কলেজ ছাত্রী রহিমা আক্তার হ্যাপি (১৮)। হ্যাপির বাবা ও হ্যাপির স্বামী সুমন সরদার সাংবাদিক এবং পুলিশের কাছে স্বীকার করেন গতকাল (আজ) হ্যাপি ও সুমনের প্রথম বিবাহবাষির্কী। হ্যাপি পড়াশোনা করতেন পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ। সে এ বছর এইচ এস সি পরীৰায় পাসও করেন। কলেজ পড়ুয়া তার সহপাঠীরা তার মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন মডেল থানাতে। উপস্থিত কয়েকজন সহপাঠী সংবাদকর্মীদের জানান, হ্যাপি ছিলো আমাদের কলেজের বন্ধু। ও খুব ভাল ছাত্রী ছিল। গত ১ বছর আগে তার স্বামী সুমনের পছন্দে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। কিন্তু হ্যাপির শ্বশুর-শাশুড়ি অনেক কিছুতেই তাকে বাধা প্রদান করতেন। সুমন যখন বাড়িতে না থাকতো তখন তারা হ্যাপিকে অনেক বকাবকি করতেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা শুনেও স্বামীর সুখের কথা চিনত্দা করে কাউকে কিছুই বলতেন না হ্যাপি। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, হ্যাপির বিয়ের পর তার শ্বশুর শাশুড়ি স্বামীসহ শহরের বিপণীবাগ (সাবেক কর্ণফুলী হাসপাতাল) অতিথি ভিলার ৪র্থ তলায় থাকতেন। তার স্বামীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ এলাকায়। হ্যাপির স্বামী সুমন সরদার ফরিদগঞ্জ এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগে চাকুরি করার পাশাপাশি শহরের একটি হাসপাতালে হিসাব বিভাগে কাজ করতেন। হ্যাপি বিভিন্ন আনন্দ উৎসব, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর কথা বললে তার স্বামী কিংবা শ্বশুর বাড়ির লোকজন তা মেনে নিতে পারতেন না। শুক্রবার সারাদিন শ্বশুর বাড়িতে বলতে থাকেন শনিবার দিন তারা প্রথম ম্যারেজ ডে পালন করবে। রাতে স্বামীকেও এ বিষয়টি জানায়। আর এ ঘটনাগুলো জানানোই ছিল যেন তার অপরাধ। আর এ অপরাধের কারণেই শ্বশুর বাড়িতে গতকাল সকাল ৯ টায় তাকে চলে যেতো হলো তাকে না ফেরার দেশে। স্থানীয় লোকজন ঘটনার সাথে সাথেই উপস্থিত হয়ে বলতে থাকেন, পরিকল্পিতভাবেই সুমন ও তার বাবা-মা মিলেই হ্যাপিকে শাসরুদ্ধ কর হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছেন।