রফিকুল ইসলাম বাবু,চাঁদপুর ঃ
চাঁদপুরের সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ১৯টি শাখা থেকে গ্রাহকরা নতুন টাকা পাচ্ছেন না। ঈদ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক চাঁদপুরের প্রধান কার্যালয়ে নতুন টাকা পাঠালেও সঠিক ভাবে তা বিতরণ করা হচ্ছে না। অনুরোধ করা সত্ত্বেও নতুন টাকা দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক গ্রাহক। গ্রাহকদের দাবি সোনালী ব্যাংক চাঁদপুরের প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী নতুন টাকা বিতরণের অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত। চাঁদপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় কোনো গ্রাহক নতুন টাকা পাচেছ না। আবদুল মান্নান, আবু সালেহ, সুফিয়ান খান নামের কয়েকজন গ্রাহক জানান, আমাদেরকে পুরানো টাকা দেয়া হয়েছে। অল্প কিছু নতুন টাকা দিলে ঈদের দিন ছোট বাচ্ছাদের দিলে তারা অনেক খুশি হতো। ক্যাশে অনেক রিকুয়েস্ট করেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন শাখা ব্যাবস্থাপক নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয় প্রতি শাখায়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। অবশ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নতুন টাকার ব্যাপারে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যদিও বিশ্বাস্থ সূত্রমতে চাঁদপুরে ১৯টি শাখার জন্য প্রায় ৫কোটি টাকার নোট বিতরণের জন্যে দেয়া হয়েছে।এসব নতুন নোট সাধারণ গ্রাহকরা না পেলেও কিছু বিশেষ ব্যাক্তিরা পাচ্ছেন অতিরিক্ত কিছু টাকা খরচ করে। সোনালী ব্যাংক চাঁদপুরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ হারুনুর রশিদ এ ব্যাপারে কিছই জানেন না বলে দাবি করেন। তিন ক্যাশ ইনচার্জের কথা বলতে নির্দেশ দেন। সোনালী ব্যাংক চাঁদপুরের প্রধান কার্যালয়ের ক্যাশ ইনচার্জ আলী আকবর বলেন, আমরা জেলার অন্যান্য শাখাগুলোতে ৫-৬ লাখ টাকা করে দিয়েছি। তাছাড়া ৫, ১০, ২০,৫০,১০০টাকার নোট অনেক কম পেয়েছি। বড় ৫শ ও ১হাজার টাকার নোট হওয়ায় অনেক গ্রাহককে নুতন নোট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতেও নতুন টাকার চাহিদা রয়েছে। অতিরিক্ত টাকা বিনিময়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের টাকা দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব ঢাহা মিথ্যা কথা।