রফিকুল ইসলাম বাবু
চাঁদপুর জেলার সুনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল- আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ। বুধবার ক্লাস বর্জন করে প্রতিষ্ঠানের ২ শাখার প্রায় ৬ হাজার ছাত্র- ছাত্রী অধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুল গাফফারের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে ছাত্র ও ছাত্রী শাখার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশি বাধাঁর মুখে পড়ে। পরে পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন থেকে সড়ে আসে। সকাল থেকে স্কুলের সামনে ডিবি ও মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করে। এ খবর শুনে চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামনুন্নাহার ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, কারো স্বাথ্য হাসিলের জন্য কোমল মতী শিক্ষার্থীদদের কেউ ব্যবহার করবে। তা মেনে নেওয়া হবে না। আইন আইনের গতিতে চলবে।
জানা যায়, জায়ামত কর্তৃক পরিচালিত আল আমিন একাডেমীতে গত একবছর যাবৎ মোঃ আব্দুল গাফ্ফার ভারপ্রাপ্ত অধ্যেক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটি নিজের খেয়াল খুশি মতো পরিচালনা করছেন। এ কারণে শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের উপর। প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে পূর্ব ঘোষিত নোটিশ অনুযায়ী বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান করা হয়। সভার বিষয়টি শিক্ষার্থীরা অবগত হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যোগ দেয় প্রাক্তন বেশকিছু শিক্ষার্থী। বর্তমানে আল আমি একাডেমীতে প্রায় ৩হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী জানায়, সাবেক অধ্যক্ষ মাহাবুবর রহমান সুনামের সাথে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও শিক্ষার মান ভেঙ্গে পড়েছ্ েআমরা তার পদত্যাগ অথবা প্রত্যাহার দাবি করছি। অপরদিকে গত দু দিন ধরে আব্দুল গাফ্ফারের একটি কথপকথনের রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই রেকর্ডে শুনা যায়, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হামীম জাকির হোসেনের অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে বকাঝকা করছেন। অথচ শিক্ষক জাকির হোসেন মাধ্যমিক শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল কাজী মুরাদ হোসেনের কাছে অসুস্থ্যতার ছুটির দরখাস্থ জমা দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন আব্দুল গাফফার। বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর জেলাবাসীর লাখ লাখ সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক মহল এ ঘটনায় চরম অসন্তোষ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন। একজন শিক্ষক প্রধানের কাছ থেকে এ এহেন ভাষা কখনোই কেউ প্রত্যাশা করে না। এছাড়াও নানা অযুহাতে শিক্ষক কর্মচারীদের নাজেহাল অপদস্থ করতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করছেন না।এ ব্যাপারে আল আমিন একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল গাফ্ফার জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। আর আমার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য, বানোয়াট।