শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক।। চাঁদপুরে জঙ্গলের ভেতরে প্রায় ৫০০ বছর পূর্বের সুলতানি আমালে নির্মিত ১ গুম্ভুজ বিশিষ্ট মসজিদের সন্ধান পাওয়া যায়।
বেশ কয়েক মাস পূর্বে সুলতানি আমালে এই মসজিদটি দৃশ্যমান হলেও এখনো এর সংস্কার কাজ শুরু হয়নি।
সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামের তালুকদার বাড়ি এলাকায় এ মসজিদটির সন্ধান পাওয়া যায়।
এই পুরনো মসজিদটি দেখার জন্য অনেক জেলা থেকে হাজারো মানুষ এই স্থানে এসে ভিড় জমাতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রয়াত মুরব্বিরা জানিয়ে গিয়েছিলেন এখানে একটি পুরনো স্থাপনা আছে। কিন্তু কেউই সেখানে যেত না। কারণ এই মসজিদটির ওপরে একটি বিশাল আকারের গাছ ও তার শেকড়, বাঁশঝাড়, অন্যান্য লতাপাতা এর বাইরের অংশকে ঢেকে রেখেছিল।
পরে ওই বাড়ির আজিজ তালুকদার নামে একজন ১০-১২ বছর আগে গাছটি কেটে এটিকে দৃশ্যমান করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো কারণে তিনি আর আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ,সাবেক সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রী চাঁদপুরের উন্নয়নের রুপকার, মাটিও মানুষের নেত্রী এবং রামপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব ডাঃ দীপু মনি এমপি’র তর্থমতে এবং নির্দেশনায় জঙ্গল কেটে ৫০০ বছরের মসজিদটির দৃশ্যমান করা হয়।
মসজিদটি ১ গুম্ভুজ বিশিষ্ট এবং মসজিদটি চিরাচরিতভাবে পূর্বমুখী অবস্থায় আছে। মসজিদটির দেয়াল ঘেষে চারপাশে ৪ টি ছোট মিম্বার রয়েছে, বাহিরের দৈর্ঘ্য (উত্তর-দক্ষিণ) মিম্বারসহ ১৬ ফুট এবং বাহিরের প্রস্থ (পূর্ব- পশ্চিম) ১৫ ফুট। মসজিদটির ভিতরের দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি। মসজিদটির ১টি মেহরাব রয়েছে এবং দেয়ালে ছোট ছোট কয়েকটি খোঁপ রয়েছে। ধারনামতে পুরো মসজিদটি পোড়া ইট,বালি, চুনা এবং ছুরকী দিয়ে নির্মিত হয়েছে। এইরুপ ঐতিহাসিক একটি মসজিদ রামপুর ইউনিয়নে রয়েছে বিধায় রামপুর ইউনিয়নবাসী অনেক গর্বিত । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উক্ত মসজিদটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষনা করলেও তা সংরক্ষন এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখানো নেওয়া হয়নি।
রামপুর ইউনিয়নের মানুষকে প্রানের দাবি খুব দ্রুত সুলতানি আমালে এই মসজিদটি সংস্কার কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হয়।