নির্বাচনী সংকট নিরসনে এরশাদের ৬টি প্রস্তাব –
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই ভোটের অনুপাতে সংসদে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করা হলে এ সংকট কেটে যাবে বল মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ প্রস্তাবনা তুলে ধরে
বলেন, এ পদ্ধতিতে সরকার গঠন করা হলে কারো একক কোনো আধিপত্য থাকবে না। কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কোয়ালিশন সরকার গঠন করা যাবে।
এরশাদ নিজের প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান কয়েকজন রাজনীতিবিদের মধ্যে আমি একজন প্রবীণ। তবে কোনো পুরাতন নিয়মে আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল, সেটা বাতিলও হয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতিও বাতিল করা যায়। সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয়। এ সময় তিনি ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
প্রস্তাব :
১. জাতীয় পরিষদের আসন সংখ্যা হবে ৩০০।
২. প্রত্যেক রাজনৈতিক দল সামর্থ্য অনুসারে প্রার্থী মনোনীত করে দুই ক্যাটাগরিতে ৩০০ করে নামের তালিকা ইসিতে পেশ করবে।
৩. একই প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে প্রার্থী হতে পারবে না।
৪. প্রত্যেক দল নির্ধারিত কোটা অনুসারে প্রার্থী ঠিক করবে (সাধারণ ৫০ শতাংশ, মহিলা ৩০ শতাংশ, সংখ্যালঘু ১০ শতাংশ, পেশাজীবী ১০ শতাংশ) ৫. কোনো দলের প্রতিনিধি মৃত্যুবরণ করলে দ্বিতীয় ক্যাটাগরি থেকে কাউকে মনোনয়ন দেবে।
৬. স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো দলীয় ভিত্তিতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, ভোটাররা প্রার্থীকে নয় বরং দলকে ভোট দেবে। কোনো নির্দিষ্ট আসনে নির্বাচন হবে না। যে দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সে দল সেই পরিমাণে সংসদ সদস্য পদ পাবে। নিজ এলাকার সংসদ সদস্য হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সংসদ সদস্য একজন আইন প্রণেতার ভূমিকা পালন করবে। আর স্থানীয় উন্নয়নে কাজ করবেন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা। তা হলে কালো টাকা ব্যয় করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখলের প্রয়োজন হবে না।