শাহরিয়ার খান কৌশিক ।। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড লদেরগাও গ্রামে দুই শিশু ঝগড়া করাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একই সাথে মহিলা ও পুরুষ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে মুনাফ গাজীর বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মমিনুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুনাফ গাজীর ছেলে মিলন গাজি, মামুন গাজী, সোহাগ গাজীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গুরুতর আহত অবস্থায় খুকি বেগম, জামাল, পান্না বেগম, অনেক, নাসরিন, মনির গাজিকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আহতের পরিবারবর্গ জানায়, মিলন গাজির শিশু ছেলে আজিজুর রহমান ও জামাল গাজীর ছেলে রাহিদ ৩২নং লদের গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছুটির পরে রাহাত ও আজিজুর রহমান স্কুলে মারামারি করে। দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে মিলন গাজি ও তার দুই ভাই মামুন, সোহাগ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামাল গাজীর বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এ সময় তাদের অস্ত্রের আঘাতে জামাল গাজী তার স্ত্রী ছেলে ও ভাই সহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বাড়ি ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রসহ তিন জনকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই তিন আসামী আটক হওয়ার পর ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোক্তার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে হাসপাতালে এসে আহতদের মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মেম্বার মুক্তার এভাবেই এলাকায় মানুষদের ইন্দন দিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি করে নিজে ফায়দা লুটার জন্য চেষ্টা করে। পরে সে তা দালাল চক্রদের সাথে নিয়ে দুই পক্ষকে সমঝোতা করার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই হামলার ঘটনায় আহত মনির গাজি বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।