পুরাণবাজার নদী ভাংগনস্থান পরির্দশন এবং হরিসভায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে যোগদান
স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, একটা সময় চাঁদপুরবাসী দুঃখ ছিলো মেঘনার ভাঙ্গন। জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা দিয়েছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হলো চাঁদপুরবাসীকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করবেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই জননেত্রী শেখ হাসিনা তার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করেন। যার ফলশ্রুতিতে মেঘনার পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে চাঁদপুরবাসীকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। কিন্ত কারো দায়িত্বে অবহেলা অথবা অনিয়নের কারণে আমাদের বসতভিটে নদীতে বিলিন হতে দেয়া হবে না। ১২ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাঙ্গনস্থান পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন। সুজিত রায় নন্দী আরো বলেন, সকারের এতোগুলো টাকার বিনিময়ে নদীপাড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ কিছু মানুষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গনরোধে আমি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। ভাঙ্গনরোধে কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে তাকে চাঁদপুরে থাকতে দেয়া হবে না।
ভাঙ্গনস্থান পরিদর্শনের আগে পুরাণবাজার হরিসভা জগন্নাথ মন্দিরে আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সুজিত রায় নন্দী।
তিনি বলেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্নভাবে নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা, যুগ্ম সম্পাদক বিমল চৌধুরী, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক অতীন্দ্র সাহা,হরিসভা জগন্নাথ মন্দিরে অধ্যক্ষ বিশাল গৌবিন্দপুরাণবাজার জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ডা. সহদেব দেবনাথ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ পাটওয়ারী, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শরীফ আহমেদ, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী খালেদা আক্তার, আসমা আক্তার মণি, পুরাণবাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন বেপারী, সদর থানা তাঁতী লীগের সভাপতি আল-আমিন প্রমুখ।