মোঃ শিমুল হাছান, ফরিদগঞ্জ ঃ
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে অধিকাংশ কাউন্সিলরদের অবৈধ ভাবে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পৌর আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ এপ্রিল শনিবার বিকালে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সম্মুখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোতাহের হোসেন।
লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাজনীতি স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে চলে যায়। একই অবস্থা বিরাজমান ফরিদগঞ্জের পৌর রাজনীতিতেও। গত ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃত নির্বাচিত মাহফুজুল হক নৌকা প্রতীক পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পৌর আওয়ামীলীগের অবস্থা সুসংহত করেন এবং স্বাধীনতা বিরোধী প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। শুরু হয় পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের নানা ষড়যন্ত্র। দুর্ভাগ্যবসতঃ সে নির্বাচনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জে নেতৃত্বদানকারীদের উত্তারাধীকারীরাও কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়।
দীর্ঘদিন পর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় ঐ চক্রটি নির্বাচিত কয়েকজন কাউন্সিলরদের ভুল বুজিয়ে গত ২৪ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ ডাক বাংলোয় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়রের নানা অনিয়ম উত্থাপন করে মেয়রের অপসারণ দাবি করেন। যা পরিপূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, সাবেক ১৩ নং ফরিদগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র দ’ুজনই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী পিতার সন্তান। বিগত নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বর্তমান মেয়রের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে অধিকাংশ কাউন্সিলরদের ভয়-ভীতি ও টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে ভিত্তিহীন দাবি তোলে সংবাদ সম্মেলন করেন। উল্লেখিত দুই ব্যক্তি আর কখনই পৌর মেয়রের পদ বিরোধীদের হাতে যাবে না বুঝেই গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোতাহের হোসেন বলেন, সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর প্রশাসক সফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী এ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। এ দু’জনই বর্তমান কাউন্সিলরদের নানা ক-ুমন্ত্রনা দিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে মেয়রের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মোতাহের হোসেনের স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারীর নাম থাকলেও বর্তমান ফরিদগঞ্জের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার বর্তমান সাংসদ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার নাম না থাকায় উপস্থিতি সাংবাদিক, নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আঃ রহমান বাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্বাস উদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির আহ্বায়ক ওহিদ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ আলম আয়াত, বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রিমনসহ প্রমুখ।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।