কচুয়া উপজেলার গোহাট ইউনিয়নের পাড়াগাঁ গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর ও শিশু সন্তানের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। গত রোববার বিকেলে পাড়াগাঁ গ্রামের আজমত উল্লাহ ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ফিরোজ বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় তার ছোট ভাই খলিলের কাছে। সেই টাকা খুঁজতে গেলে প্রবাসীর স্ত্রী পারুল বেগমকে দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশ দিয়ে সন্ত্রাসী মানিক (৩৫) ও তার ছোট ভাই খলিল (২৮) হামলা চালায়। তারা ওই বাড়ির জালাল আহমদের ছেলে।
আহতের ভাই মোশাররফ বলেন, আমার ভগি্নপতি ওমান প্রবাসী। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে টাকা পাঠিয়েছে খলিলের একাউন্টে। টাকা চাইতে গেলে তারা আমার বোনের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। এক পর্যায়ে পারুল বেগম (৩০) ও শিশু সুলতান আহমদ (৬)-এর চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তীরা এগিয়ে না আসলে তারা প্রাণে মেরে ফেলতো। গুরুতর আহত অবস্থায় মা-ছেলেকে বাড়ির লোকজন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে যাই। বর্তমানে আমার ভাগিনা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার অবস্থা গুরুতর।
এই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী পারুল বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করবেন বলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় খলিলের সাথে। তিনি বলেন, মূলত ঝগড়া আমার সাথে নয়, আমার বাবা-মার সাথে হয়। আমি ছুটাতে গেলে পারুল বেগম পাশে থাকা বাঁশের কঞ্চির উপর পড়ে গেলে তার নাক ও গালে অাঁচড় লাগে। এ ব্যাপারে আমার মামা ও বাড়ির লোকজন মীমাংসা করে দেবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন।