প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামে মাটি কাটতে গিয়ে মাটির নিচে কুড়িয়ে পাওয়া এক পাথর নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। পাথরটি কষ্টিপাথর বা মূল্যবান কোনো পাথর বলে জানাজানি হলে পাথরটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল কড়ৈতলী যাওয়ার পর ওই চক্রটি অন্য একটি পাথর রেখে যায়। এলাকার মানুষের দাবি, ওই চক্রটি আসল পাথরটি না দিয়ে নকল একটি পাথর রেখে গেছে।
সরেজমিন গেলে স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী গ্রামের ফজর আলী গাজী বাড়ির দিনমজুর শাহপরান কয়েক মাস পূর্বে বাড়ির পাশের ঠাকুর বাড়ির একটি পরিত্যক্ত স্থানে মাটি কাটতে গিয়ে একটি কালো রঙের পাথর খুঁজে পায়।
পাথর বিষয়ে কোনো ধারণা না থাকায় শাহ্পরান তার বাড়ির সিঁড়ি হিসেবে এটি ব্যবহার করে। গত শনিবার বিকালে একই এলাকার গাছের ব্যবসায়ী হুমায়ুন ওই বাড়িতে এসে পাথরটি দেখে পরীক্ষা করে। ওই রাতেই সে পাথরটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন রোববার সকালে শাহপরানের মা ঘরের সামনে পাথরটি দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে জানালে, তারা হুমায়ুনকে আটক করে বাড়িতে নিয়ে আসে। সে পাথরটি নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করার এক পর্যায়ে ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা সোহেল পাটওয়ারীর নেতৃত্বে লোকজন এসে তাকে জিম্মায় নিয়ে যান এবং পাথরটি ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
শাহপরান জানায়, সোমবার সকালে পাথর উদ্ধারের জন্য সোহেল পাটওয়ারী, হুমায়ুনসহ বেশ কয়েকজন তাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে গেলেও এক পর্যায়ে তাকে না নিয়ে তারা পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলায় যায়। সেখান থেকে সোহেল তাকে ফোনে জানান, পাথরটি পাওয়া গেছে, তবে এর জন্য ১ লাখ টাকা লাগবে। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি ফরিদগঞ্জ থানায় রাতেই পাথর নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।