শওকত আলী:
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে ২০ভরি ওজনের স্বর্নালংকার, মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকা পেয়েও ফেরত দিয়ে কেবিন বয় রনি সততার পরিচয় দিয়ে দৃস্টান্ত স্থাপন করেন।
একেই বলে প্রকৃত সততা । এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিশ্চিত করেন, ইমাম হাসান-২ লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার।
ইমাম হাসান-২ লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান,ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী বিক্রমপুর শিপিং করপোরেশনের যাত্রীবাহী লঞ্চ এম.ভি.ইমাম হাসান-২লঞ্চটি প্রতিদিনের মত ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দের্শে ছেড়ে আসে দুপুর পৌনে ১২টায়। এ লঞ্চের ৩০৬নং কেবিনটি ভাড়া নেয় জনৈক মুকবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম,তার বাসা শহরের স্টেডিয়াম এলাকার মাদ্রাসা রোড। বিকেল সোয়া ৩টায় লঞ্চটি চাঁদপুর আসলে মুকবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ২০ভরি ওজনের স্বর্নের অলংকার,একটি মোবাইল সেট,নগদ ১০ হাজার টাকাসহ তার ব্যানিটি রেখে লঞ্চ থেকে নেমে চলে যান। কেবিন বয় জহিরুল ইসলাম রনি(২৭) কেবিন চ্যাক করতে গিয়ে ২০ভরি ওজনের স্বর্নের অলংকার,একটি সেমপনি মোবাইল সেট ও নগদ ১০হাজার টাকা দেখতে পায়। সে তাৎক্ষনিক লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকারকে জানিয়ে তার কাছে ব্যাগটি জমা দেন। তিনি ব্যাগটি হেফাজত করে রেখে দেন। বিকেল ৪টায় স্বর্নের মালিক মুকবুল আহমেদ পাগলের মত এসে ব্যাগটি খুজতে থাকে ও কাঁপতে থাকে। এ সময় আলী আজগর সরকার বিষটি বুঝতে পেরে তাকে শান্তনা দিয়ে বলেন,আপনার ব্যাগ আছে। তাৎক্ষনিক মুকবুল আহমেদের নিকট ব্যাগটি পৌছে দেন। তিনি খুশি হয়ে কেবিন বয় রনিকে মাত্র ২শ,টাকা বকশিস দেন। এ সময় উপস্থিত সবাই বলতে থাকে, একেই বলে সত্যিকারের সততা। রনি পটুয়াখালী জেলার,ধমকি উপজেলার দক্ষিন মুড়াদিয়া এলাকার নিজাম উদ্দিন কাজীর ছেলে। উল্লেখ্য, এর পূর্বে রনি ঈগল লঞ্চে চাকরী করা অবস্থায় ১লক্ষ টাকা ও প্রচুর পরিমানে স্বর্ন পেয়ে মালিককে ফেরত দিয়ে দৃস্টান্ত স্থাপন করে ছিলেন।