ছেড়ে আসা স্বামীর সাথে ফের বিয়েতে রাজী না হওয়ায় মিতুকে (২১) জবাই করে হত্যা করা হয়। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছে মিতুর সাবেক স্বামী হজরত আলী (২৬)। এই হত্যাকা-ে আরো বেশ কয়েকজন ঘাতক অংশ নিয়েছে তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অন্য সকল ঘাতকের নাম গোপন রেখেছে। তবে হত্যাকা-ে অংশগ্রহণকারী অন্য ঘাতকদের আটকের জন্য কাজ করছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিতুর মায়ের দায়ের করা হত্যা মামলা দায়েরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হজরত আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হজরত আলী পুলিশকে জানান বেশ কয়েক বছর আগে মিতুকে বিয়ে করার পর মিতু জানতে পারে হজরত আলীর আগে বিয়ে করা স্ত্রী রয়েছে। এরপরেই মিতু নিজে হজরত আলীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। হজরত আলীকে ছেড়ে আসার কিছু দিন পর হজরত আলী বাহরাইন চলে যায়। বাহরাইন গিয়ে হজরত আলী মিতুর সাথে যোগাযোগ শুরু করে। সম্প্রতি হজরত আলী বাহরাইন থেকে তল্পিতল্পাসহ দেশে চলে আসে। দেশে এসে সে মিতুকে বিয়ে করার জন্য বুঝাতে চেষ্টা করে। কিন্তু মিতু কোনভাবেই হজরত আলীকে ফের বিয়েতে রাজী না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যাকা- ঘটায়।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলাম চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, মিতুকে ফের বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে হজরত আলী এই হত্যাকা- ঘটায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। মিতু হত্যাকা-ে অন্য যেসব ঘাতক অংশ নিয়েছে তাদেরকে আটকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই দিনগত রাতে হাজীগঞ্জের ৪নং কালোচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাজনাখাল চাঁদপুর গ্রামের মরহুম আবু তাহেরের মেয়ে মিতু বাবার বাড়িতে সাবেক স্বামীসহ বেশ কয়েক ঘাতকের হাতে হত্যাকা-ের শিকার হন। মেয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত মিতুর মা রাবেয়া বেগম পর দিন ২৪ জুলাই হাজীগঞ্জ থানায় মেয়ের সাবেক জামাতা হজরত আলী (২৬)সহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ উপজেলা দ্বাদশগ্রামে চেঙ্গাতলী বাজার এলাকা থেকে আটক করে। হজরত আলী দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের কীর্ত্তোনখোলা গ্রামের গুদা গাজী বাড়ির সুরুজ মিয়ার ছেলে।