শাহরিয়ার খান কৌশিক ঃ
হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে হাইমচর থানা পুলিশ ও নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে ২০জন জেলেকে আটক করেছে। গত রোববার রাতে নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় জেলেদের ৪টি নৌকাসহ আটক করে নিয়ে আসে। হাইমচরের একটি দালাল চক্র জেলেদের চারিয়ে দেয়ার নামে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রশাসনকে ম্যনেজ করে লোক দেখানো জরিমানার বিনিময়ে ১২জন জেলেকে মুক্তি দেয়। বাকি ৮জনকে পূর্বেই ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাইমচরে প্রতিনিয়ত এভাবেই নদী থেকে জেলেদের রাতের আধারে আটক করে টাকার বিনিময় ছেড়ে দেয়। তবে আটকের ঘটনা জানাজানি হলে জরিমানার বিনিময় তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। প্রশাসনের লোকদের সাথে হাইমচরের সাংবাদিক নামধারী ক’য়েকজন দালাল এই সাথে জরিত রয়েছে। ঐ নামধারী সাংবাদিকরা প্রত্রিকায় কোনো সংবাদ প্রকাশ হবে না বলে প্রশাসন ও জেলেদের কাছ থেকে দুইভাগে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
হাইমচরে এই ২০জেলে আটকের ঘটনাটি হাইমচর থনার ওসি মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদের মধ্যে কিছু সংখক কিশোর হওয়ায় তাদে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাকি ১২ জেলেকে নির্বাহী কমকর্তা সাইফুল ইসলাম জরিমনা করে ছেড়ে দেন। এ ব্যাপরে হাইমচরের নির্বাহী কমকর্তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। একটি সূত্র জনায় প্রতিদিন হাইমচরে মেঘনা নদীতে জেলেরা প্রশাসনকে ম্যনেজ করে জাটকা মাছ নিধন করছে। হাইমচরের তেলির মোড়ের খোকন ও মমিন দালালসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধীক জেলে নৌকা নদীতে মাছ শিকার করছে। এই দুই দালাল প্রশাসনকে নৌকাপ্রতি টাকা দিয়ে টোকেন মাধ্যমে নির্ধারিত জেলে নৌকা নদীতে মাছা শিকার করাচ্ছে। যদের টোকেন নেই তাদেরকেই পুলিশ আটক করে গ্রেফতার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।