গোলাম মোস্তাফা ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমামুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া বাজারে রাতের অন্ধকারে দোকান দখল করে সরকার দলীয় সংগঠনের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা ।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারী দিবাগত রাত্রে মহামায়া বাজারে চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের বিল্লাল পাটওয়ারীর মালিকাদীন ১টি দোকানঘর দখল করে ুসরকার দলীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন কার্য্যালয়ের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় , বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা শাহজালাল বেপারীর ভাই বিএনপি নেতা আব্বাছ বেপারী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুজনের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে উক্ত দোকান ঘরটি মালামাল সড়িয়ে ভিতরে ও বাহিরে দলীয় সংগঠনের সাই বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে তালা মেরেছেন। এই বিষয়টি রাতেই নাইট গার্ড এর মাধ্যমে জানতে পেরে তিনি পরেরদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন মাহমুদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ,ইউনিয়ন,উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে প্রথমমে মৌখিক পরে লিখিত বা বেলিখিত বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি অবিযোগে উল্লেখ করেন এই সম্পত্তিটি এক সময় তার ছিল সড়ক জনপথ বিভাগ তার সম্পত্তির ৬০ শতাংশ ভূমি থেকে ১৬ শতাংশ ভূমি একওয়ার করেন। কিন্তুু পিছনে তার সম্পত্তি থাকায় উক্ত সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী তিনি এটি লীজ নেন বা ব্যবহারের অনুমতি নেন। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সরকারাী রাজস্বখাতে তিনি প্রতি বছর বছর নির্ধারিত ফিও দেন। জানা যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উক্ত ইউনিয়ন সহ আশেপাশের ইউনিয়নগুলোতে ব্যাপতক জনসমর্থন রয়েছে সেই স্বাধীনতার কাল থেকেই। যা, বিগত নির্বাচন গুলোতে প্রমান রয়েছে। কিন্তু একটি কু-চক্রি মহল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উক্ত বিএনপি নেতা আব্বাছ বেপারীর নেতৃত্বে এ ঘটনাটি ঘটিয়াছে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী বিল্লাল পাটওয়ারী ১টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিষয়টির বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর আমি স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাছাড়া কোন ব্যবসায়ী দখল করে দলীয় কার্য্যালয় করার বিষয়ে তারা অসন্তুষ প্রকাশ করে বিষয়টির বিষয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম দুলু মোল্যা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মিলন বলেন বিষয়টি অত্যান্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক এ ধরনের ঘটনায় আমরা ধিক্কার জানাই । এই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ ধরনের অপকর্ম করতে পারেনা । এরা আমাদের দলের কেউ না।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক । আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শাখার নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে দখলমুক্ত করার জন্য বলে দিয়েছি। আর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের কর্মী না। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।