শওকত আলী॥
নামে নামে জমে টানে। বহুল প্রচলিত প্রবাদটি সত্য হলো চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সিংআড্ডা গ্রামের যুবক বিল্লাল পাঠানের জীবনে। নিজে কোন মামলার আসামী না হয়েও এক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীর নামের সঙ্গে মিল থাকায় তাকে এখন জেল খাটতে হয়েছে। দীর্ঘ দিন জেল খেটে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার শিংআড্ডা গ্রামের নিরাপরাধ যুবক বিল্লাল পাঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মামনুর রশিদের আদালত থেকে মুক্তিনামা চাঁদপুর জেলে পাঠানো হলে বিল্লালকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয় । বিল্লাল পাঠানের আইনজীবীরা গত সপ্তাহে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিনা অপরাধে আসামী হয়ে জেল খাটা বিল্লাল পাঠানের জন্য জামিন চাইলে আদালত জেল হাজত থেকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন । আদালত থেকে প্রতিবেদন আসার পরই ব্যবসায়ী বিল্লাল পাঠানের মুক্তি দেওয়ার কাগজে স্বাক্ষর দেন অতিরিক্ত জেলাও দায়রা জর্জ মো: মামুনুর রশিদ।
‘নামে নামে যমে টানে’- বলে যে প্রবাদটি প্রচলিত রয়েছে তার কারনে মামলার আসামি না হয়েও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সাথে নামের মিল থাকায় বিল্লাল পাঠানকে জেল খাটতে হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিল্লালের মুক্তির দাবিতে গত ১১ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে প্রতিক অনশন পালন করেছে। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ভুইয়া সহ অনান্য নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা অনশন ভঙ্গ করে।
প্রায় ১২ বছর আগে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধৃত ডাকাত দলের এক সদস্য নিজের নাম বিল্লাল হোসেন মোল্লা, গ্রাম কচুয়ার শিংআড্ডা উল্লেখ করলেও এটি ছিলো তার ভুয়া নাম। তারপরও পুলিশ বিল্লাল হোসেন পাঠান নামে এ ব্যক্তিকে আটক করে। ফরিদগঞ্জ থানার একটি ডাকাতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুলিশ বিল্লাল হোসেন পাঠানকে চাঁদপুর কোর্টে চালান দেয়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদপুর জেলা কারাগারে সাজা ভোগ করার পর মুক্তি পান । বিকেলে বিল্লাল পাঠান জানান, আমি সকলের দোয়া এবং ভালোবাসায় আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছি । আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না।