স্টাফ রিপোর্টার:
॥ চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামের ঢালী বাড়ির মৃত মতিন ঢালীর ৩য় মেয়ে মিসেস: কাকুলী আক্তারের সাথে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ইসলামাবাদ গ্রামের মোঃ আলীমিয়া প্রধানীয়ার ছেলে রিপন প্রধানীয়ার সাথে ২০০৭ইং ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে প্রথম একটি মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। মেয়ের মান জেরিন আক্তার(৭)। পরবর্র্তীতে আরেকটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। ছেলেটির নাম মোঃ আলিফ(৫)। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে আমি অনেক বিপাকে আছি। ৫ বছর পূর্ব থেকেই কাকুলীর স্বামী রিপন কাকুলীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কাকুলী স্বামীর অধিকারের জন্য তার কাছে গেলে সে তাদেরকে কোন পাত্তা দেয় না বলে অভিযোগে উল্লেখ করে। পরে কাকুলী শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে পাওে রিপন আরেকটি বিয়ে করে ঘর-সংসার করছে। তাকে একবারও জানানো প্রয়োজন মনে করেনি রিপন। কাকুলীর দুটি সন্তান তার বাবার কাছে গেলে বাবা রিপন বাচ্চা দুইটিকে না চেনার ভান করে থাকেন। সন্তান দুটি জন্মের পরে থেকেই বাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত। বাবার আদর সোহাগ কি জিনিস তারা এখন পর্যন্ত বুঝতে পারে না। কোন দিন বাবার ভালোবাসা ও পায় না। সন্তান দুটি খেয়ে আছে না, না খেয়ে আছে কোন দিন জিজ্ঞেস করে না রিপন। কাকুলী এই সন্তান দুটিকে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে। শ্বশুর বাড়িতে কোন অধিকার পায় না। বাবার বাড়িতে ৫ বছর যাবৎ সন্তান দুটিকে নিয়ে পড়ে আছে। কাকুলীরা ৫ বোন, কোন ভাই নাই, বাবাও কিছু দিন আগে মারা গেছেন। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই তাদের। কাকুলী অভিযোগে আরো উল্লেখ করে যে, স্বামীর অধিকার পাওয়ার জন্য ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাছে একটি অভিযোগ করে। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে রিপন বলেন, আমি একে নিয়ে সংসার করবো না। চেয়ারম্যান বলেন, সংসার করবে না কেন? তখন সে কাকুলীর বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করেন। চেয়ারম্যান উত্তরে বলেন, কাকুলীকে নিয়ে সংসার না করলে ৫ লক্ষ্য টাকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। এই কথা শুনে রিপন কাকুলীকে নিয়ে সংসার করবো বলে আবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়। চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে বলেন, তাহলে আগামীকাল রিপন তার শ্বশুর বাড়ি থেকে কাকুলীকে নিয়ে আসবে। এই কথা গৃহীত হয়। পরের দিন রিপনতো কাকুলীকে তার বাড়ি থেকে আনাতো দুরের কথা বরং সে পরের দিন ঢাকায় চলে যায়। কাকুলীর পরিবার রিপনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রিপন কোন যোগাযোগ করে না। সেই যে রিপন চলে গেলো এই পর্যন্ত রিপনের কোন খোজ নাই। কাকুলী আক্তার বলেন, আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলে তার শ্বশুর ও তার বড় বোনেরা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তার স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে তোর স্বামীকে ভুলে যা তোর স্বামীর সাথে আর যোগাযোগের চেষ্টা করবি না। তারা আরো বলেন এই বাড়িতে আর কোন দিন আসার চেষ্টা করবে না। তাছাড়া প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কাকুলী বলেন, এখন এই সন্তান দুটিকে নিয়ে কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো, কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। তাই আর কোন রাস্তা না পেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর গতকাল ১৭ মে এক খানা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উপরোক্ত বিষয়গুলো কাকুলী উল্লেখ করেন।