শওকতআলী ॥
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চাঁদপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানি পশুর হাট।তবে ভারতীয় গরু আসায় দাম নিয়ে হতাশার মধ্যে পরেছে চাঁদপুরের গরু ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পশু হাটের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। তবে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন খামার গুলোতে কোরবানি উপলক্ষ্যে রাসায়নিক পদার্থ ব্যাবহার করে ৩৪ হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়েছে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান।
আর মাত্র ৩দিন পরেই মুসলীম সম্প্রদায়ের পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আযহার দিন কোরবানি দেওয়ার জন্য ক্রেতারা গরু ও ছাগল ক্রয় করতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে, তাই তারা হাটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। দু’ একদিনের মধ্যেই এ ভিড় আরো তীব্র আকার ধারন করবে। যারফলে হাটগুলো এখন পরিপূর্ণ হতে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়ও জমতে শুরু করেছে স্থায়ী অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। চাঁদপুর জেলায় এবার ১শ’ ২৬ টি স্থানে গরুর হাট বসেছে।
তবে ভারতীয় গরু আমদানি বাড়ায় দাম নিয়ে হতাশ দেশী গরু ব্যবসায়ীরা। সব পশুরই দামবেশীর অভিযোগ ক্রেতাদের। সড়কের পাশে যাতে হাট না বসে সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন প্রশাসন। হাটগুলোতে দেশী গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু ও ছাগলও উঠেছে প্রচুর।
চাঁদপুরে শহর ও শহরতলীর হাটবাজার গুলোতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে বিক্রয় করার জন্য। চাঁদপুরের প্রধান প্রধান হাট বসবে শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন স্বর্ণখোলা মাঠ, বাবুরহাট, বাগাদী চৌরাস্তা, মহামায়া, শাহতলী, মৌশাদী, বাকিলা, মুন্সিরহাট, ইচুলী, ঢালীর ঘাট, পুরানবাজার ওচমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ, দোকান ঘর, দাসাদী, তরপুরচন্ডী, আনন্দ বাজার, সফরমালী সহ অসংখ্য হাটবাজার।
এদিকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানায়, শহরের স্বর্ণখোলা পশুর হাটে গত কয়েক বছর যাবত পশুর হাট ইজারাদার হাছিলে অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাকে হয়রানির মধ্যে ফেলেছে। এতে করে ইজারাদার লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতারা।