চাঁদপুর সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের কচুয়ায় সালমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে প্রায় ৫ মাস ধরে পিত্রালয়ে আসতে না দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মনপুরা গ্রামস্থ আব্দুর রহিমের পুত্র এমরান হোসেন ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সালমা বেগমকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জানাগেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার তারাপাল্লা গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের কন্যা সালমার প্রায় দু’বছর পূর্বে কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র এমরান হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। সালমার হতদরিদ্র মা রিনা বেগম জানান, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিয়ের সময় জামাইকে নগদ ১ লাখ টাকা, আসবাবপত্র, গহনাসহ মূল্যবান আসবাবপত্র দেন। কিন্তু পাষন্ড মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের এতো কিছুতেও মন ভরেনি। কারণে অকারণে আরো টাকা চেয়ে তাকে মারধর করে পৃত্রালয়ে আসতে না দিয়ে দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় স্বামীর বাড়িতে আটকে রাখে। এ অবস্থায় গত রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সহায়তায় সালমা বেগমকে কচুয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সালমা বেগমের ভাই ফারুক জানায়, আমার বোন বর্তমানে প্রায় মৃত্যু শয্যায় রয়েছে। কাদলা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া জানান, সালমাকে স্বামীর বাড়িতে দীর্ঘদিন বিনা চিকিৎসায় আটকে রাখার বিষয়টি শুনেছি এবং এ ঘটনায় সালমাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য তার স্বামী পক্ষকে বলেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সালমার স্বামী এমরান মিয়া জানান, সালমাকে পূর্বে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, এখনো চিকিৎসা চলছে।