মনিরুল ইসলাম মনির :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আগামী নির্বাচন হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী, আগুন সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিদের ‘৭১ -এর অনুপ্রেরণায় এ যুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। বাংলাদেশের মাটি থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাজদের চিরতরে নির্মূল করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। নির্বাচন নিয়মমাফিক যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেটি নির্বাচন কমিশনই আয়োজন করবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আনন্দ উৎসব উপলক্ষ্যে জহিরাবাদ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, দেশের গৌরবকে ধরে রাখতে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর যাতে কোনো দিন দেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে লড়াই করতে হবে।
মায়া বলেন, যারা দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এখনও বাংলাদেশকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে না তাদের প্রতিহত করার একমাত্র হাতিয়ার আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করা।
তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর যাতে কোনো দিন দেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আর সে লড়াই হলো আগামী নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
জনসভায় ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি- একমাস পর নির্বাচন হলেও আমরা প্রস্তুত। আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই, পরিকল্পনাও নেই। এটা শুধু তাই নয়, একমাস, তিন মাস-ছয় মাস যখনই নির্বাচন হয়, তখনই আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছি। তবে আমরা চাই বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হোক। কিন্তু তারিখ নির্ধারণের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।
মায়া চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শানিত হবে আর পরাজিত হলে প্রথমেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিহিংসার শিকার হবেন।
মতলব উত্তর উপজেলায় আইটি পার্ক ও ইকোনোমিক জোনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের প্রসার সম্ভব হয়েছে। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য একটি দূরবর্তী স্বপ্নে মত ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ভূমিকার কারণে এ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশী বিদেশী চাপ থাকা সত্ত্বেও সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলংকমুক্ত করেছে। ২০১৩ সালে সংগঠিত আগুন সন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মায়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের সংগে নিয়ে একটি দল দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করায় মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে সে দলটি তখন বাহানা ধরে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ও উন্নয়ন ভাবনা দেশের মাটিতেই হবে। বিদেশী শক্তি বা বিদেশে বসে কেউ বাংলাদেশের উন্নয়ন ফরমুলা দিলে কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা প্রত্যেক ঘরে তথ্য প্রযুক্তি পৌঁছে দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা আর বহির্বিশ্ব এখন বাংলাদেশের উন্নয়নকে অবাক বিস্ময়ের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখার আহবান জানান মন্ত্রী।
মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম জাহাঙ্গীর আলম মাষ্টারের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য একেএম রিয়াজ উদ্দিন মানিক, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব এ্যাড. আক্তারুজ্জামান, জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ বাদল, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা, এখলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোসাদ্দেক হোসেন মুরাদ, ষাটনল ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মোহন মিয়া, এখলাছপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রেহান উদ্দিন নেতা প্রমুখ ।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।