রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ
চাঁদপুর সরকারি কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীতাহানির চেষ্টা, ফোনে কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব, ছাত্রীদের সাথে অন্যের ছবি সংযুক্ত করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেলিং করা, প্রতারণার মাধ্যমে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে কফি খাওয়ানোর নাম করে বিয়ার খাইয়ে মাতাল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মুসলিম সরদার মিশু। রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি। একই বিভাগের বেশ ক’জন ছাত্রী চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারি কলেজ অধ্যক্ষের কাছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কলেজ অধ্যক্ষ অভিযোগের প্রেক্ষিতে অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিসেস আয়শা আক্তারকে প্রধান করে এবং সহযোগী অধ্যাপক সুশীল কুমার সাহা ও শেখ মোঃ খলিলুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। এদিকে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে ছাত্রীদের প্ররোচিত করেছেন তার সহকর্মী শিক্ষক মেহেদী হাসান এমন ধারনায় এই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন মুসলিম সরদার মিশু। শিক্ষক মেহেদী হাসান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং ৯৯৮)। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান। চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালি উল্লাহ অলি শিক্ষক কর্তৃক আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মুসলিম সরদার মিশু বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন আছে তাই আমি কিছু বলতে চাই না’। ‘তবে জেলা ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতারাসহ অধ্যক্ষের সাথে এ নিয়ে বসেছেন, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন’। কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাহার বলেন, ছাত্রীরা সচরাচর কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চায় না। তারপরও যদি এ ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও তার কথার দ্বারা চরমভাবে আক্রান্ত হয়েছি। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে বলি নি।